This website is for information Bcs, Primary Exam Suggestions, Islamic questions, Govt jobs preparation. Exam Suggestions. Private Jobs News. And Other's.

Breaking

Saturday, February 23, 2019

ব‌্যাংক ভাইবার প্রস্তুতিঃ BANK VIVA PREPARATION.


ব‌্যাংক ভাইবার প্রস্তুতিঃ
ভাইবা চাকরির জন‌্য অত‌্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। প্রায় সকল চাকুরিতে ভাইবা নেয়া হয়। বিশেষ কিছু ব‌্যতিক্রম ছাড়া ভাইবা চাকরিতে যোগদানের পূর্বধাপ। আপনি ভাইবাতে ভাল করলেন তো আপনার চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেল। তবে তীরে এসে তরী ডোবার মত ঘটনাও ঘটে থাকে। অর্থাৎ ভাইবাতে খারাপ করে চাকরিটা হাতছাড়া করা।
.

সম্প্রতি কিছু ব‌্যাংক ও নন ব‌্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভাইবা চলমান। ভাইবার প্রস্তুতিকে আমরা মোটা দাগে দুই ভাগে ভাগ করতে পারি। এক- জ্ঞান বিষয়ক। এটা হতে পারে আপনার অনার্সের সাবজেক্টের জ্ঞান, ব‌্যাংকিং/অর্থনীতির জ্ঞান বা বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান। আমরা সবাই ভাইবার আগে এসব বিষয়ে পড়াশোনা করে থাকি। তবে ভাইবার প্রস্তুতির আরেকটি ভাগ আছে যা হল দুই- চাল-চলন ও পোষাক পরিচ্ছদ। আমরা অনেকেই ভাইবার এ দিকটা গুরুত্ব দেই না । আবার অনেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন জনের কাছে প্রশ্ন করে বিভিন্ন রকম উত্তর পেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। আমার প্রায় আট বছর ব‌্যাংকে চাকরির অভিজ্ঞতার পুরোটায় হল যারা ভাইবা বোর্ডে থাকেন এ পর্যায়ের লোকদের সাথে কাজ করা; সে অভিজ্ঞতার আলোকে ভাইবার প্রস্তুতির চাল-চলন ও পোষাক পরিচ্ছদ নিয়ে দুএকটি কথা লিখব। ভাইবার নিয়ে যা বলব তার বেশিরভাগই কোন ধরাবাঁধা নিয়মকানুন মেনে চলে না বা বই পত্রে খুব একটা পাওয়া যায় না। 
.
ভাইবা বোর্ডে যারা থাকেন তাদের বেশিরভাগই একই মনের অধিকারী এবং গড় বয়স ৫০ বছর। আমাদের কাছে যা স্বাভাবিক তার কিছু কিছু বিষয় তাদের কাছে বিরক্তকর মনে হতে পারে। একটা ট্রেনিংয়ে আমাদের সাথে একজন অংশগ্রহণকারী ফুলহাতা শার্টের হাতা দুই ভাজে গুটিয়ে পড়ছিলেন। সেটা দেখে একজন ফ‌্যাকাল্টি মেম্বার তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাস করলেন “আপনি কি মারামারি করতে আসছেন?” আমার কাছে মনে হয়েছিল শার্টের হাতা গুটিয়ে রাখলে অসুবিধা কোথায়? বিআইবিএম এর বর্তমান ডিজি স‌্যার দুইটা কঠিন নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এক- অবশ‌্যই স‌্যু পরতে হবে। দুই- গেঞ্জি পরা যাবে না, শার্ট পরতে হবে। এই নিয়মটা লাইব্রেরীতে পড়ার সময়ও আমাদের মানতে হত। স‌্যু পরে না আসার জন‌্য আমাকে দুইদিন স‌্যার লাইব্রেরী থেকে বের করে দিয়েছিল। আর গেঞ্জি পরে আসায় আমার বন্ধুকে স‌্যার রেগে বলছিল “খালি গায়ে আসলেই পার”। বুঝেন অবস্থা।! তো গল্প বাদ দিয়ে চলেন কাজের কথায় আসি।
.
১. সময়, স্থান, তারিখ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ এডমিট কার্ডটা ভালভাবে পড়ুন। কি কি নিতে হবে তা লক্ষ‌্য করুন। রিটেন এর এডমিট কার্ড লাগবে কিনা দেখুন। সার্টিফিকেট, মার্কশীট, ট্রান্সক্রিপ্ট, কলম আলাদা ফোল্ডারে আগেরদিন রাতেই রেডি করে রাখুন। আপনি বিশেষ কোন কোটায় আবেদন করে থাকলে তার কাগজপত্রও রাখুন। কোন অভিজ্ঞতা বা কম্পিউটারের সনদ চেয়েছে কিনা দেখুন। ভাইবার স্থান আপনার পরিচিত না হলে সেখানে কিভাবে যেতে হবে তা সম্পর্কে ধারনা নিন। সুযোগ থাকলে আগের দিন ভাইবা বোর্ডের আশপাশে ঘুরে আসুন। ভাইবা দিয়েছেন এমন কাউকে পেলে ভাইবা বোর্ড সম্পর্কে আপনার ভাল ধারণা হবে। যে পোষাক পরে ভাইবা দিতে যাবেন তা অবশ‌্যই আগের রাতে ঠিক করে রাখবেন। 
.
২. পোষাকঃ ছেলেদের চুল ছাটা থাকতে হবে সাথে ক্লিন সেভ বা দাড়ি ছাটা। ঘড়ি ব‌্যতিত অন‌্য কোন জুয়েলারি ব‌্যবহার করবেন না। মোবাইল ফোনটা সকালে ঘুম থেকে উঠেই সাইলেন্ট করে ফেলুন। শার্ট হবে ধবধবে সাদা। লাল বা কালো টাই পরবেন। শার্টের বুক পকেটে কলম ছাড়া কিছু রাখবেন না। প‌্যান্ট হবে কালো সাথে কালো পলিশ করা জুতা। ধার করে হলেও কোট পরবেন। বেল্ট অবশ‌্যই কালো হতে হবে। চশমা থাকলে কোনটা পরবেন আগেই ঠিক করে রাখুন। মেয়েরা অবশ‌্যই শাড়ি পরবেন। শাড়ি হালকা রংয়ের হতে হবে। সীমিত আকারের সাজগোজ করবেন। জুতা ম‌্যাচিং হতে হবে। সিম্পল অলংকার ব‌্যবহার করবেন। 
.
৩. ভাইবা বোর্ডঃ কখনোই চাকরি নিয়ে সিরিয়াস হবেন না। আপনার টার্গেট থাকবে ভাইবা ভালভাবে দেয়া। সবসময় মনে করবেন আমি সবার সেরা ভাইবাটা দিব। রিটেন ভাল হয়নি, আমার বয়স শেষ বা আমার কোটা নাই এ চিন্তা মাথায় আনবেন না। ভাইবা বোর্ডে কখনই আপনার দূর্বলতা প্রকাশ করবেন না- যেমন বয়স শেষ বা অসহায় পরিবার। হাসি মুখে প্রবেশ করবেন। প্রথমেই দেখে নিবেন বোর্ডের চেয়ারম‌্যান কে(সাধারণত মাঝে বসেন)। আপনার হাত থাকবে আপনার উরুর উপর। বসা এবং উঠার সময় চেয়ারে শব্দ করবেন না। যে প্রশ্ন করবে তার চোখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন শুনবেন। তারপর উত্তর দিবেন। উত্তর দেয়ার সময় সব সদস‌্যের দিকে আই কনটাক্ট করবেন। ভয়েস হবে একটু উচ্চ যেন সবাই শুনতে পায়। আপনার উত্তর স‌্যারদের পছন্দ না হলে আরগুমেন্ট করবেন না। বাংলায় প্রশ্ন করলে ইংরেজীতে উত্তর দেয়ার প্রয়োজন নাই। নাক চুলকানো, মাথা নাড়ানো এধরনের মুদ্রাদোষ পরিহার করুন।
.
পরিশেষে, ভাইবা বোর্ডে বাজিমাৎ করতে হলে কিছু টেকনিক অবলম্বন করতে হয়। আপনার কোন স্ট্রং পয়েন্ট থাকলে তার প্রসঙ্গ না আসলেও উল্লেখ করবেন। যেমন আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ‌্যালয়ের ভাল কোন বিষয়ে পড়েছেন অথবা আপনার মাস্টার্সের রেজাল্ট প্রথম শ্রেণিতে প্রথম। আপনার উত্তরের মধ‌্যে পরবর্তী প্রশ্নের ক্লু রেখে দিবেন। যেমন আপনাকে জিজ্ঞাস করল ব‌্যাংক কি? আপনি শুরু করলে ব‌্যাংক বলতে আমরা সাধারণত তফসিলি ব‌্যাংককে বুঝি। পরের প্রশ্ন করবে তফসিলি ব‌্যাংক কি? আপনি উত্তর দিলেন যে সব ব‌্যাংক সিআরআর এসএলআর মেইনটেইন করে। পরের প্রশ্ন হবে সিআরআর কি? এভাবে আপনি ভাইবা বোর্ডকে পছন্দমত বিষয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
.
সবার সফলতা কামনায়
আনোয়ার পারভেজ, এসিসিএ
প্রিন্সিপাল অফিসার, জনতা ব‌্যাংক লিমিটেড




Industry is the key of Success.

No comments:

Post a Comment

Translate

Popular Posts