This website is for information Bcs, Primary Exam Suggestions, Islamic questions, Govt jobs preparation. Exam Suggestions. Private Jobs News. And Other's.

Breaking

Wednesday, January 29, 2020

বায়োফ্লকে কোন প্রজাতির মাছ চাষ। Bioflock Fish Hervesting.


#বায়োফ্লকে_কোন_প্রজাতির_মাছ_ছাড়বেন_এবং_কেন?
#কতলিটারে_কত_পিস_ছাড়বেন?

লেখক:
কৃষিবিদ তৌহিদুল ইসলাম শাকিল
BSc(Fisheries), MS(Aquaculture)
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

বায়োফ্লক প্রযুক্তি সাধারণত অল্প জায়গায় অধিক মাছ উৎপাদনের একটি কৌশল। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া,  ফিলিপাইন এমনকি ইন্ডিয়াতেও এই চাষ পদ্ধতি এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। আমাদের দেশের আবহাওয়া এই পদ্ধতি চাষাবাদের জন্য অনেকাংশ অনুকূল।  কারন আমাদের শীতকাল মাএ ২ মাস যখন ফ্লক উৎপাদনে একটু সমস্যা হতে পারে। অনেক দেশে শীতকাল ৪/৫/৬ মাস। যার কারনে সেই সব দেশে বায়োফ্লক প্রযুক্তি অনেক ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। যাইহোক অনেকে গ্রুপে জানতে চেয়েছেন বায়োফ্লকে কোন প্রজাতির মাছ চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায় ও কি পরিমাণ মাছ চাষ করা যায়। আসুন তাহলে এ বিষয় গুলো বিস্তারিত জেনে নেই।



বায়োফ্লকে শিং, মাগুর, পাবদা, গুলশা, চিংড়ি ও তেলাপিয়া জাতীয় মাছ চাষাবাদ করলে বেশী লাভবান হওয়া যায়। বিশেষকরে চিংড়ি ও তেলাপিয়া ফ্লক খেয়ে থাকে এজন্য এ জাতীয় মাছে খাবার খরচ অন্যন্য মাছের তুলনায় কম লাগে। আমাদের দেশে অনেকেই তেলাপিয়া চাষে সফল হয়েছেন। কারণ তেলাপিয়া মাছ যেকোন পরিবেশে সহজে নিজেকে মানিয়ে নেয়। যেমন অতিরিক্ত স্যালাইনিটি, অতিরিক্ত  তাপমাএা , রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দ্রুত বর্ধণশীলতা ইত্যাদি এ মাছের প্রধান বৈশিষ্ট্য। তেলাপিয়া মাছটি ৪-৪.৫ মাসে বিক্রয় উপযোগী হয়। বায়োফ্লকে বছরে ২ টি হারভেষ্ট করা যায়। তবে তেলাপিয়াটি হতে হবে মনোসেক্স প্রজাতীর। আর শিং, মাগুর, পাবদা, গুলশা চাষাবাদটি একটু sensitive.  পানির সবগুলো গুণাগুণ সবসময় ঠিক রাখতে হবে। বিশেষ করে Salinity বিষয়টি important. সব সময়  salinity ১-১.৫ পিপিটি এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করতে হবে। PH, এ্যমোনিয়া optimum রাখতে পারলে এ মাছ গুলো চাষাবাদ করে অনেক লাভবান হওয়া সম্ভব। এ জাতীয় মাছ গুলোও বৎসরে ২ টি হারভেষ্ট সম্ভব তবে বড় সাইজের পোনা ছাড়তে হবে এবং ঘনত্ব কম দিতে হবে। তবে যারা প্রথম চাষ শুরু করবেন তারা শুরুতে মনোসেক্স তেলাপিয়া দিয়ে শুরু করুন এর পরবর্তী শিং, মাগুর, পাবদা, গুলশা চাষাবাদ বুঝতে সহজ হবে এবং ঝুকি কম হবে। আর একটি কথা যারা এখনও শুরু করেন নি তারা অবশ্যই শীতের পর শুরু করবেন। শীতে ফ্লক এর সমস্যা হতে পারে।


বায়োফ্লকে ইন্দোনেশিয়াতে ১০০০ লিটারের বায়োফ্লকে তারা ১০০ কেজি মাছ উৎপাদন করে থাকে ৪/৫ মাসে। তবে আমাদের দেশেও হয়ত সম্ভব তবে ভালোমানের প্রবায়োটিক ও প্রবায়োটিকের adaptation দরকার। তবে আমাদের দেশে ১০০০ লিটার বায়োফ্লকে ৫০/৬০ কেজি উৎপাদন পাওয়া যাচ্ছে। তো আসুন এখন জানি কি পরিমান মাছ ছাড়ব তার হিসেব। ধরুন আপনার একটি ১০০০ লিটারের বায়োফ্লক আছে। আপনি তেলাপিয়া মাছ ছাড়বেন। আপনার প্রডাকশান টার্গেট ৬০ কেজি ৪ মাসে। তেলাপিয়া সাধারনত ৪ মাসে ২/৩ টায় কেজিতে আসে। যদি আপনি ২ টায় কেজিতে আনতে চান তাহলে ১২০ টি পোনা ছাড়ুন। আার যদি ৩ টায় কেজি আনতে চান তাহলে ১৮০ টি পোনা ছাড়ুন। কিছু মাছ মারা যেতে পারে তাই ৫% পোনা অতিরিক্ত ছাড়ুন। মাছের পোনাগুলো ছাড়ার সময় যেন ১৫০০-২০০০ পিসে ১ কেজি হয় সেদিকে খেয়াল করুন। শিং, পাবদা, গুলশা, মাগুর পোনা গুলো ২০০ পিসে ১ কেজি ছাড়ার চেষ্টা করুন তাহলে বছরে ২ টি ফলন বিক্রি করতে পারবেন। এভাবে যেকোন মাছের যেকোন পরিমান পোনার হিসেব করে পোনা ছাড়তে পারবেন।


Industry is the key of Success.

No comments:

Post a Comment

Translate

Popular Posts