হ্যাঁ করোনা চাইনিজ মিলিটারীর একটি জীবাণু অস্ত্র!
১৯৮১ সালে প্রকাশিত মার্কিন উপন্যাসিক ডিন কুন্টজের The Eyes of Darkness নামের একটা সাইন্স ফিকশান তাই দাবী করেছে।
১৫৩ পৃষ্ঠার বইটা রিভিউ করেছেন সেন্টার ফর মেডিকেল স্কলার্সের রিসার্স টিমের মেম্বার
রানু
জেরিন
ফারিহা
জামিল
আপন এবং
ডাঃ সেতু
বইটির কাহিনী পুরোটাই কাল্পনিক। জীবিত মৃত কোন ব্যক্তি কিংবা কোন ঘটনার সাথে এর সম্পৃক্ততা খুঁজলে নিজ দায়িত্বে খুজবেন।
:
:
:
:
:
৩৩ বছর বয়সী টিনা লাস ভেগাসের একজন সুন্দরী স্ট্রিপ ড্যান্সার।
প্রফেশনাল ড্যান্সার হলেও সে একজন সিন্সিয়ার, স্নেহময়ী মা।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাত্র ১২ বছর বয়সে তার একমাত্র ছেলে ড্যানি মারা যায়।
পুলিশের ভাষ্য মতে দুর্ঘটনায় ড্যানির লাশ এতটাই বিকৃত হয়ে যায় যে, মা দেখলে ভয় পেয়ে যাবে।
পুলিশ তাঁকে দেখতে দেয় নাই ছেলের লাশ।
কিন্তু শয়নে স্বপনে জাগরণে সব সময় ড্যানিকে অনুভব করে মা, তার অস্থিত্বকে ভুলতেই পারছে না সে।
ছেলের মৃত্যুর এক বছর পার হবার পরও ছেলের রুমটা যেভাবে যেরকম ছিল মিউজিয়ামের মত করে ঠিক সেভাবে রেখে এটাকে সংরক্ষণ করে চলেছে টিনা।
প্রতি রাতে টিনা দুঃস্বপ্ন দেখে ড্যানিকে নিয়ে।
প্রায় রাতে বিকট শব্দে তার ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং সে মনে করে কেউ বাসায় ঢুকেছে।
প্রতিটা রুম চেক করে সে, শুধু ছেলের রুম ছাড়া।
অন্য এক দিন রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে সব রুম চেক করার পর ছেলের রুমে গিয়ে দেখে ছেলের বিছানার স্লেটে লেখা আছে "NOT DEAD"
ভয় পেয়ে যায় টিনা।
দ্রুত সেটা সে মুছে ফেলে সে।
কিন্তু ড্যানি স্বপ্নে তার মাকে বারংবার আহবান জানায় তাকে যেন মৃত্যুপূরী থেকে উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু কীভাবে?
ড্যানি তো অলরেডি মৃত।
টিনা এই দুঃস্বপ্নের কোন কারণ খুজে পায় না।
যেহেতু ছেলের লাশ দেখে নি সে, স্নেহময়ী মায়ের অবুঝ মনে ক্ষীণ আশা জাগে, হয়ত ছেলে মারা যায় নি। ভয়াবহ আঘাত নিয়ে বেঁচে আছে হয়ত।
বার বার আদরের ছেলেকে খুজে ফিরে তার মন।
ড্যানির এই বাচতে চাওয়ার আর্তনাদ দিনে দিনে দুঃস্বপ্ন থেকে বাস্তবে ধরা দেয়।
বিভিন্ন ভাবে ড্যানি তার মা'কে মেসেজ পাঠায় যে সে বেচে আছে এবং তার মা যেন তাকে উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিন আরো একবার ঘরের মধ্যে আওয়াজ শুনে ছেলের রুমে গিয়ে দেখে স্লেটের উপর "NOT DEAD" লেখা আছে।
অথচ সে মুছে ফেলেছিল আগের লেখাটা।
তাহলে কেউ কি ঘরে ঢুকে লিখে দিয়েছে এটা?
ঘরের চাবি আছে কাজের বুয়া আর তার ডিভোর্সী হাজবেন্ডের কাছে।
টিনা তাদের সন্দেহ করে।
আবার নিজেকেও সন্দেহ হয় তার।
তবে অতিরিক্তি পুত্রশোকে সে কি মানসিক রোগী হয়ে গেলো?
পাওয়ার্ড বাই - সিএমএস গ্রুপ স্টাডি
:
:
:
:
:
টিনার বাসার কাজের আয়া একাকী বাসায় কাজ করতে গিয়ে ও অদ্ভুত সব ঘটনা প্রত্যক্ষ করে মৃত ড্যানির রুমে।
ছেলের মৃত্যুর রহস্য উদ্ধারে সংকল্পবদ্ধ হয় টিনা।
সঙ্গী তার নতুন ফ্রেন্ড এলিয়ট।
এলিয়ট তার পরিচিত জজ কেনবেকের কাছে যায় যিনি এই পুনরায় লাশ উঠানোর ব্যাপারে লিগ্যাল সাহায্য করতে পারবেন।
কিন্তু ক্যানবেক সাহায্য না করে এলিয়ট এবং টিনাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য গোয়েন্দা টিম পাঠায়।
একের পর এক ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটতে থাকে। জীবনঘাতী হামলা হয় টিনা এবং এলিয়টের উপর। ভয়ঙ্কর বিস্ফোরনে উড়ে যায় টিনার বাড়ি। অল্প আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় টিনা।
মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এলিয়ট খুব দ্রুত বুঝতে পারে যে ক্যানবেক ই এই কাজ করেছে। এলিয়টের তাৎক্ষনিক বুদ্ধিতে সে যাত্রায় দু'জন বেচে যায়। লাস ভেগাস থেকে পালিয়ে অন্য শহরে চলে যায় তারা।
কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরোনোর মত ঘটনা। টিনা ও এলিয়ট এরপর ড্যানির লাশের পোস্টমর্টেমকারী লুসিয়ানো বেলিকস্টির র সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সাক্ষাতের আগেই চাইনিজ গোয়েন্দাদের হাতে নিহত হয় বেলিকস্টি।
প্রিপেয়ার্ড বাই - সেন্টার অফ মেডিকেল স্কলার্স
:
:
:
:
:
সিয়েরা নেভাডার পার্বত্য অঞ্চলে জীবাণু অস্ত্রের গবেষণা চলছে।
চাইনিজ প্রতিরক্ষা বিভাগের তত্ত্বাবধানে চাইনিজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আর চাইনিজ প্রতিরক্ষা অধিদপ্তরের যৌথ প্রযোজনায় উহান ৪০০ নামক জীবাণু অস্ত্রের ট্রায়াল দিচ্ছে চাইনিজ গোয়েন্দা বিজ্ঞানীরা। প্রকল্প পরিচালক হচ্ছে মিঃ আলেকজান্ডারের নেতৃত্বে সিয়েরা কমপ্লেক্সের মাটির নিচে স্থাপিত “প্যান্ডোরা প্রজেক্ট” নামে এই জীবাণু অস্ত্রের গবেষণা চলছে। কাজ করে যাচ্ছেন দুই শীর্ষ বিজ্ঞানী ডঃ অ্যারন জাকারিয়া এবং ডঃ কার্লটন ডম্বে।
ল্যাবে জীবাণু নিয়ে কাজ করার প্রক্কালে ল্যারি বলিঞ্জার নামে এক বিজ্ঞানী সংক্রামিত হয়ে পড়েন। আইসোলেশন প্রোটোকল অনুসরণের পরিবর্তে তিনি ল্যাব থেকে পালিয়ে যান। চলে আসেন একটা স্কাউট ক্যাম্পে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্কাউটিং করা সমস্ত শিশুদের মধ্যে মারাত্মক ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরে সব শিশুকে আইসোলেশন ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে আসে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ড্যানি নামক বার বছরের এক শিশু ছাড়া সবাই মারা পড়ে। ইন ফ্যাক্ট ড্যানিই একমাত্র ব্যক্তি যে উহান ৪০০ ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বেঁচে যায়।
কেন বেঁচে গেলো?
কীভাবে বেঁচে গেলো?
ড্যানি কীভাবে ভাইরাসকে পরাভূত করলো?
ড্যানির উপর রিসার্সের জন্য তাকে অপহরণ করে সিয়েরা কমপ্লেক্সের ভূ-গর্ভস্থ প্যান্ডোরা ল্যাবে নিয়ে আসা হয়।
তার উপর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়।
এদিকে ড্যানির মা স্ট্রিপ ড্যান্সার টিনাকে বলা হয়, ছেলে ভয়ঙ্কর সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক এবং বিভৎসভাবে আহত হয়েছে।
টিনাকে ছেলের লাশ দেখতে দেওয়া হয় নি।
বলা হয় পোস্ট মর্টেম করে লাশ কবরস্থ করা হয়েছে, টিনা দেখলে ভয় পাবে।
পাওয়ার্ড বাই - সিএমএস গ্রুপ স্টাডি
:
:
:
:
:
গোপন ও অতিশয় সুরক্ষিত ল্যাবে পৌছানোর জন্য টেলিকাইনেসিস পাওয়ার দিয়ে ড্যানি তার মা'কে কন্টিনিউয়াসলি ইন্সট্রাকশান দিয়ে যাচ্ছিল।
গোপন ল্যাবের সঠিক ম্যাপ,
সিকিউরিটি সিস্টেম বিকল করে ফেলা,
সিসি ক্যামেরা অকার্যকর করা সব ধরনের সাপোর্ট ড্যানিই দিচ্ছিল।
ইনফ্যাক্ট এই টেলিকাইনেসিস পাওয়ার ছিল ড্যানির উপর পরিচালিত গবেষণার একটা সেকেন্ডারি ইফেক্ট।
চাইনিজ এক বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত উহান ৪০০ ভাইরাস অনেকটা সিফিলিসের মত।
মানুষ ই ভাইরাসের এক মাত্র বাহক এবং মানবদেহের বাইরে এই ভাইরাস বাচতে পারেনা।
ভয়ংকর প্রাণঘাতী ভাইরাসটির ফ্যাটালিটি রেইট ১০০%।
উহান-৪০০ ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ড্যানিই একমাত্র জীবিত মানব।
ড্যানি কীভাবে ভাইরাসকে পরাভূত করলো?
বিস্ময়কর বালক ড্যানির উপর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয় শুধু এইটা জানার জন্য।
তার শরীরের এন্টিবডি টেস্ট করা হয়।
শুধু উহান-৪০০ ই না, আরো নানা ধরনের বিভিন্ন স্ট্রেইনের জীবানু ড্যানির শরীরে ইনজেক্ট করা হয়৷
কিন্তু ড্যানি সকল ভাইরাসের এগেইন্সটে যুদ্ধ করে বছর খানেকেরও বেশি সময় ল্যাবে বেঁচে থাকে।
আর অর্জিত টেলিকাইনেটিক পাওয়ার দিয়ে সেই ল্যাব থেকে সে তার মাকে মেসেজ দিতে থাকে যেন তাকে এই ল্যাব থেকে উদ্ধার করা হয়।
কীভাবে সে এই মেসেজ টা দিল?
বিজ্ঞানী ডঃ অ্যারন জাকারিয়া এবং ডঃ কার্লটন ডম্বে ড্যানির ব্রেইন স্ক্যান করে প্যারাইটাল লোবে নতুন একধরনের ব্রেইন টিস্যুর সন্ধান পায়।
যেটা একচুয়ালি কোন বিনাইন/ম্যালিগন্যান্ট টিউমার না।
জাস্ট নতুন ব্রেইন টিস্যু।
কিন্তু নতুন ব্রেইন টিস্যু তো এভাবে জেনারেট হওয়া পসিবল না!
আসলে বিজ্ঞানীরা যেসব ভাইরাস নিয়ে ড্যানির উপর গবেষণা চালাচ্ছিল তার সেকেন্ডারি ইফেক্ট হিসেবে এই ব্রেইন টিস্যু জেনারেইট হয়।
আর নতুন এই ব্রেইন টিস্যুর মাধ্যমে ড্যানির টেলিকাইনেসিস পাওয়ার ডেভেলপ করে।
সে অনেক দূর থেকেও অনেক কিছু কন্ট্রোল করার শক্তি ডেভেলপ করে।
সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে, যেসব বিজ্ঞানীরা ড্যানির উপর গবেষণা চালাচ্ছিল তারা ড্যানির এই টেলিকাইনেসিস পাওয়ার বিন্দুমাত্র টের পায়নি।
একের পর এক সংঘাত এড়িয়ে এলিয়ট এবং টিনা প্যান্ডোরা ল্যাবে পৌঁছে।
দেখা পায় একের পর এক পরীক্ষা নিরীক্ষায় জীবিত কঙ্কালসার ড্যানির।
ডঃ অ্যারন জাকারিয়া তথ্য দিতে অস্বীকার করলেও টিনা ও এলিয়টকে সব রহস্য খুলে বলে বিজ্ঞানী ডম্বি।
উন্মোচন হয় এক জঘণ্য মানবতাবিরোধী ষড়যন্ত্রের।
@Mohammad Illias
No comments:
Post a Comment