স্ত্রী সহবাসের সুন্নাত নিয়ম
অনেকে স্ত্রীর সাথে সুন্নাত তরিকায় কি কিভাবে সহবাস করবো জানতে চেয়েছেন
সে জন্য অনেকেরই দরকারী মনে করে পোষ্ট লেখলাম। কেননা ইসলামি যৌন বিজ্ঞান সম্পর্কে বর্তমান সমাজের অনেকই অজ্ঞ! যেগুলির কারনে মানুষ অহরহ পাপ না জেনে পাপ কাজ করছে। সঠিক মাত্রা ও ব্যবহার পদ্ধতি না জানার কারনে তৈরি হচ্ছে নানাবিধ যৌন রোগ যার কারনই অামাদের গোপন থেকে যায়। যাই হোক মুল কথায় ফিরছি।
সহবাসের সঠিক নিয়ম হলো স্ত্রী নিচে থাকবে আর স্বামী ঠিক তার উপরি ভাবে থেকে সহবাস করবে। মহান আল্লাহ তায়ালা সহবাসের নিয়ম এভাবেই সুরা অারাফের ১৮৯ নম্বর অায়াতে
বলেছেন
فَلَمَّا تَغَشَّاهَا حَمَلَتْ حَمْلاً خَفِيفًا فَمَرَّتْ بِهِ فَلَمَّا أَثْقَلَت دَّعَوَا اللّهَ رَبَّهُمَا لَئِنْ آتَيْتَنَا صَالِحاً لَّنَكُونَنَّ مِنَ الشَّاكِرِينَ (
অতঃপর পুরুষ যখন নারীকে আবৃত করল, তখন, সে গর্ভবতী হল। অতি হালকা গর্ভ। সে তাই নিয়ে চলাফেরা করতে থাকল। ( সুরা অারাফ: ১৮৯ অংশ)
বিজ্ঞ ডাক্তারগন এটিই বার বার বলে থাকেন।
বিধায় স্পষ্ট নিয়ম হলো স্ত্রী নিচে থাকবে স্বামী উপরে থাকবে। অার তাতেই স্ত্রী গর্ভধারন করবে।
সতর্কতা : এমন যেন না হয় যে স্ত্রী স্বামীর উপর থেকে বসে সহবাস করছে আর সে সময় স্বামীর বীর্যপাত হয়ে গেল। তাহলে ডাক্তারী চিকিৎসা মতে তখন বীর্য পুরো বের হয় না ভেতরে বিশেষ জায়গায় থেকে যায় আর তাতে পুরুষের ভেতর পাথর তৈরি হয়ে বড় ধরনের রোগ হবার অাশংকা থাকে। তাছাডা স্ত্রী গর্ভধারণও করেনা।যদিও ইদানিং অনেক নিয়ম নেটে দেখানো হয় এ গুলো সঠিক নিয়ম নয় এগুলোতে প্রশান্তি নেই।
সহবাসের আরো কিছু সুন্নত নিয়ম হলো।
১/ স্ত্রী সহবাসের আগে ভাল করে দাতঁ ব্রাশ বা মিসওয়াক করবে।
২/ স্বামীও ভাল করে দাঁত মেসওয়াক বা ব্রাশ করবে। সিগারেট বা কোন বদ নেশার দুর্গন্ধ নিয়ে স্ত্রীর কাছে যাবে না।
৩/ স্বামী স্ত্রী সহবাসের পুর্বে উভয় ওজু করে নিবে
৪/ বিসমিল্লাহ বলে আরম্ভ করা মুস্তাহাব।
শুরুতে ভুলে গেলে বীর্যপাত হবার পর বিসমিল্লাহ পড়বে ।
৫/ স্ত্রীগণ শরীরে সুগন্ধি টেলকম পাউডার বা সুগন্ধি লাগিয়ে নিবে। স্বামীও আতর বা সুগন্ধি লাগিয়ে নিবে ।
৬/ সহবাসের সময় কেবলা মুখি হয়ে করবেনা।
৭/ সহবাসের সময় একেবারে উলঙ্গ হয়ে পড়বেনা। যদি তৃপ্তি না আসে তাহলে উপরে কোন কাপড় বা চাদর দিয়ে ঢেকে নিবে।
৮/ বীর্যপাত হয়ে গেলে সাথে সাথে স্ত্রীর উপর থেকে নেমে পড়বেনা। বরং কিছু সময় তার উপর শুয়ে থাকবে। আবার পুরো শরিরের ভর তার উপর ছেড়ে দিবে না যাতে তার কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা সুন্নত।
৮/ সহবাসের পর দোয়া পড়বে।
অথবা বাংলাতে বলবে হে আল্লাহ বিতারিত শয়তান থেকে আপনার কাছে আমরা আশ্রয় চাচ্ছি হে আল্লাহ আমাদেরকে নেক সন্তান দান করুন ও আপনার নেয়ামত দ্বারা পরিপূর্ন করুন।
তাহলে এই সহবাস দ্বারা যদি সন্তান লাভ হয় তাহলে শয়তান সে বাচ্চার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা ।
৯/ কোন ভাবেই পায়ূ পথে সঙ্গমের চিন্তা ও করবে না এটা মহাপাপ, যেটা কোরআন হাদিসে কঠিন ভাবে নিষেধ করা হয়েছে।তা ছাডা ডাক্তারী সাইন্স মতে উভয়ের এমন কঠিন ব্যধির আশংকা রয়েছে যার চিকিৎসা পৃথিবীর কোন ডাক্তার ও করতে পারবে না।
তাই সাবধান!!!!
১০/ কোন অবস্থায় নেশা জাতীয় খাদ্যে বা পানীয় খেয়ে বা পান করে সহবাস করবে না।
১১/ কারো সামনে এমনকি নিজের আড়াই/ তিন বছরের জাগ্রত শিশুর সামনে ও নয়।
১২। নিয়ত ঠিক করুন। হযরত আলী (রা.) তাঁর অসিয়ত নামায় লিখেছেন যে, সহবাসের ইচ্ছে হলে এই নিয়তে সহবাস করতে হবে যে, আমি ব্যভিচার থেকে দূরে থাকবো। আমার মন এদিক ওদিক ছুটে বেড়াবেনা আর জন্ম নেবে নেককার ও ভালো সন্তান। এই নিয়তে সহবাস করলে তাতে সওয়াব তো হবেই সাথে সাথে উদ্যেশ্যও পূরণ হবে, ইনশাআল্লাহ।
ইসলাম শুধু নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, নয়
প্রতিটি কাজের সাথে গভীর ভাবে জড়িয়ে অাছে
ইসলামের হুকুম আহকাম ও নিয়ম কানুন গুলো প্রতি কাজ কর্মে মেনে চলুন, ইনশাআল্লাহ দুনিয়া ও অাখেরাতে কল্যাণ বয়ে আনবে, নবীর সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করুন ।
প্রিয় নবী আমাদের সব কিছু শিখিয়ে গেছেন, সেই ভাবে জীবন যাপন করি, জান্নাতি মানুষদের অনুসরণ করে। আমরা ও যেনো জান্নাতি হতে পারি । আমাদের সমস্ত মুসলমানদের সেই তাওফিক দান করুন,
আমিন
আমিন
ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন ।
আমাদের পেসবুক পেজে জয়েন করুন
No comments:
Post a Comment