তাহাজ্জুদ নামায কিভাবে পড়বেন জেনে নিন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা
.) বলেন: ‘ফরজ নামাজগুলোর পর উত্তম নামাজ হলো রাতের তাহাজ্জুদ।’
(মুসলিম, আলফিয়্যাহ, পৃষ্ঠা: ৯৭, হাদিস: ৪০৫)।
তাহাজ্জুদঃ
তাহাজ্জুদের অর্থ হল ঘুম থেকে উঠা। কুরআনে রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের যে তাগিদ করা হয়েছে তার মর্ম এই যে, রাতের কিছু অংশ ঘুমিয়ে থাকার পর উঠে নামায পড়া।
তাহাজ্জুদের সঠিক সময় এই যে,
এশার নামাযের পর লোকেরা ঘুমাবে। তারপর অর্ধেক রাতের পর উঠে নামায পড়বে। নবী (সাঃ) কখনো মধ্য রাতে উঠতেন , তারপর মেসওয়াক ও অযু করে নামায পড়তেন।
☞ তাহাজ্জুদ নামাযের সময়ঃ
অর্ধ রাতের পরে। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের মুল সময় মুলত রাত ৩টা থেকে শুরু হয়ে ফজরের আযানের আগ পর্যন্ত থাকে।
তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে ইশা সালাতের পর দু রাকআত সুন্নত ও বিতরের আগে তা পড়ে নেয়া জায়েয আছে। তবে পরিপূর্ণ তাহাজ্জুতের মর্যাদা পেতে হলে, এশার নামাযের পর ঘুমিয়ে রাত ২টা বা ৩টার দিকে উঠে নামায আদায় করতে হবে।
তাহাজ্জুদ অন্ধকারে পড়তে হয়’ বা ‘তাহাজ্জুদ পড়লে জিন আসে’ অথবা ‘তাহাজ্জুদ শুরু করলে নিয়মিত আদায় করতে হয় না হলে সে পাগল হয়ে যায়, এসব ভুল ধারণা। তবে কারও ঘুমের ব্যাঘাত যেন না হয় এবং প্রচার মানসিকতা যেন না থাকে; এ বিষয়ে যত্নশীল ও সতর্ক থাকতে হবে। তাহাজ্জুদ নিয়মিত আদায় করতে পারলে তা অতি উত্তম। নফল ইবাদত বিশেষ উদ্দেশ্য বা প্রয়োজন ছাড়া গোপনে করাই বাঞ্ছনীয়।
☞ তাহাজ্জুদ নামাযের রাকআত সংখ্যাঃ
সর্ব নিম্ন দু রাকআত। আর সর্বোচ্চ ৮ রাকআত পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের ৮ রাকাত নামায আদায় করার পরে, বিতর ৩রাকাত নামায পড়া। রাসুল (সাঃ) তাহাজ্জুদের নামায বেশিরভাগ সময় ৮রাকাত পরতেন এবং এঁর পর বিতরের নামায পরে মোট ১১রাকাত পূর্ণ করতেন।
১। তাহাজ্জুদ নামাজ বিতরসহ ১৩, ১১, ৯ কিংবা ৭ রাকাত পড়া যায়
(বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ১০৬ পৃঃ)
২। প্রথমে দু’রাকাত ছোট ছোট সুরা মিলিয়ে হালকাভাবে পড়ে আরম্ভ করবে
(মুসলিম, মেশকাতঃ১০৬ পৃঃ)
৩। অতঃপর দু’রাকাত করে, তাহাজ্জুদের নামায চার রাকাত পড়তে চাইলে দু’সালামে চার রাকাত পড়ে তিন রাকাত বিতর পড়বে ।
(বুখারী, মেশকাত ১০৬ পৃঃ)
বিঃদ্রঃ- যদি এশার নামায পরে বিতরের নামায পড়ে থাকেন, তবে তাহাজ্জুত নামায পড়ার পড়ে বিতর নামায পড়ার দরকার নেই। তখন ২ রাকাত থেকে শুরু করে ৮রাকাত তাহাজ্জুত নামায পরলেই হবে।
তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়মঃ
তাহাজ্জুদ নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সুরা নেই। যে কোন সুরা দিয়েই এই নামায আদায় করা যাবে। তবে যদি বড় সুরা বা আয়াত মুখস্ত থাকে তবে, সেগুলো দিয়ে পড়াই উত্তম। কারন রাসুল (সাঃ) সব সময় বড় বড় সুরা দিয়ে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করতেন। তাই আমাদেরও বড় সুরা মুখুস্ত করে, তা দিয়ে তাহাজ্জুত নামাদ আদায় করা উচিৎ।
যায়হোক, বড় সুরা মুখস্ত না থাকলে যে কোন সুরাদিয়েই নামায আদায় করা যাবে। নিয়ম হল ২রাকাত করে করে, এই নামায আদায় করা। প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর, অন্য যে কোন সুরা মিলানো।
এভাবেই নামায আদায় করতে হবে।
জাজাকাল্লাহ খইরন।
Industry is the key of Success.
No comments:
Post a Comment